চবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পর বস্তাভর্তি অস্ত্র উদ্ধার আটক – ৩৯

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার দিনভর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে রাতে তল্লাশী অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ দেশীয় তৈরী বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টা থেকে জেলা পুলিশের শতাধিক পুলিশ সদস্য কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেছে। পুলিশের এ অভিযানে সহযোগিতা করেছে চবি প্রশাসন।

রাত ১০টা থেকে অভিযান শুরু করে চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত। এসময় ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত চবির শাহজালাল, আলাওল, সোহরাওয়ার্দী, এ এফ রহমান, আব্দুর রব ও শাহ আমানত হলে তল্লাশী করে ৩ বস্তা লোহার রড়, দারালো দা, ছুরি, কিরিচ, চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে জানতে রাতে হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে চবি পুলিশ ফাঁড়ির চবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আখতারুজ্জামান হল তল্লাশী এবং অস্ত্র উদ্ধারে কথা স্বীকার করেছেন। কি পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে তিনি তা বলতে পারেননি।

অভিযানকালে জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। যে সব হল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলে উপস্থিত থাকলেও পুলিশ তাদের আটক করেনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন অনুসারীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন আহত হয়।

আহতরা হলেন- সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের জামান নুর, সহ-সভাপতি আবুবক্কর (লোকপ্রশসন), এস এম মাসুম খান (ইতিহাস) ও সভাপতি গ্রুপের সাইফুল (একাউন্টিং), আশিক (ব্যাংকিং)ও নাফি (আইন)। বর্তমান ওই দুই হলের সামনে অসংখ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনে কথা কাটাকাটির জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী মাসুম বিল্লাহকে মারধর করে সভাপতির অনুসারীরা। তাৎক্ষণিক এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা জড় হয়ে সভাপতি অনুসারীদের ধাওয়া দিলে তারা শাহজালাল হলে এসে অবস্থান নেয়।
পরে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা শাহ্ আমানত হলে ও সভাপতির অনুসারীরা শাহজালাল হলে অবস্থান নিয়ে দেশিয় অস্ত্রসহ ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে দু’গ্রুপের ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়।

উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর পুলিশ চবির বিভিন্ন হলে তল্লাশী চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছিল। এসময় ছাত্রলীগের ৩৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছিল।