বন্যার্তদের খাদ্যের অভাব হবে না : প্রধানমন্ত্রী

বিডিসংবাদ ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনে সরকার সব রকমের পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশে চলমান বন্যার ফলে ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। বন্যার্তদের পুনর্বাসন করা এবং পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে তারা যেন চাষাবাদ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে। বন্যার্তদের খাদ্যের কোন অভাব হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যা, খরা ঝড় এ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেই আমাদের বাঁচতে হবে। তাই এ সব দুর্যোগে  জানমালের ক্ষতি যাতে কম হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ। সব প্রস্তুতি আমাদের নেয়া আছে।’

শনিবার বিকেল ৩টার দিকে সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজ মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও কৃষকদের মধ্যে ধানের চারা বিতরণকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন , বন্যাদুর্গত যেসব এলাকায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে, সেখানে কৃষকদের সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষিঋণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে । কৃষকদের কাছ থেকে সুদ নেয়া বন্ধ থাকবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে আমনের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। তারা যাতে ফসল লাগাতে পারেন সেজন্য সার ও বীজও সরবরাহ করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের সেবা করাটাই আমার দায়িত্ব। যখনই সুযোগ পেয়েছি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি নিজে সে সব জায়গায় যাচ্ছি। পাশাপাশি বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে সরকার।’

চালের দাম কমিয়ে আনার জন্য চালের উপর আরোপিত শুল্ক কমানোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ১০ টাকা কেজি করে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। ৫০ লাখ পরিবারকে এর আওতায় আনা হবে।

বন্যাদুর্গত মানুষের সব রকম সেবা নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যা যা করা লাগে আমরা তা করছি। বন্যায় আমরা কাউকে কষ্ট করতে দেবো না।

তিনি বলেন, বন্যায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্তত খাদ্যের কোনো অভাব হবে না, সেই ওয়াদা দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের টিন দেবো, নগদ টাকা দেবো, যারা ঘর হারিয়েছেন তাদের করে দেবো ঘর।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত কুমার রায়, বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা ) আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাদারা মান্নান, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন  শফিক  প্রমুখ।