সাবেক নেতার শোক সভায় ছাত্রলীগের উপস্থিতি না থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক : রাবি ভিসি

রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ‘বিচারপতি বজলুর রহমান রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন, অথচ তার স্মরণে শোক সভায় ছাত্রলীগের উপস্থিতি না থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক। এসময় তিনি প্রগতিশীল চেতনার শিক্ষকদের কমসংখ্যাক উপস্থিতির সমলোচনা করেও বলেন, তিনি যে প্রগতিশীল আদর্শের মানুষ ছিলেন, আজকে তার স্মরণ সভায় বিশ্ববিদ্যালয় সাড়ে ছয়শত প্রগতিশীল শিক্ষক মধ্যে ১০-১৫জন উপস্থিত হয়েছেন। যা সত্যিই আমাদের জন্য হতাশাজনক।’

শনিবার শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে আইন অনুষদ আয়োজিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি বজলুর রহমান ছানা মৃত্যুতে এক শোক ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষকতার বক্তৃতায় ভিসি মিজানউদ্দিন আরো বলেন, ‘আজকে এই স্মরণসভায় অনেকে রাকসু নির্বাচনের কথা বলেছেন, কিন্তু রাকসুর নেতৃত্ব দিবে কারা? আজকে ছানার স্মরণসভায় দাঁড়িয়ে ছানার মত নেতৃত্ব খুঁজে পাচ্ছি না। এজন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি হিসেবে নিজেকে ব্যর্থ মনে বলে করি। তার কারণ হিসেবে মনে করি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ কাজ করছে। কেন এই হতাশা? আসুন প্রগতিশীল সবাই মিলে সমস্য উদঘটন করি ও সমাধানের উপায় খুঁিজ।’
স্মরনসভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক রাকসু ভিপি ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, প্রো-ভিসি প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম ও আব্দুল ওয়াদুদ দারা, আইন সচিব আবু সালহ শেখ মো. জহিরুল হক, সাবেক রাকসু ভিপি রাগিব হাসান মুন্না, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর শাহ আজম, প্রফেসর ইমেরিটাস অরুণ কুমার বসাক প্রমুখ মরহুমের জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করে বক্তৃতা করেন।

বক্তৃতায় তাঁরা মরহুম বজলুর রহমানকে ছাত্রনেতা হিসেবে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, মৃত্যু অমোঘ ও অবশ্যম্ভাবী হলেও বজলুর রহমানের মৃত্যু আমাদের সবার জন্য নিদারুণ মর্মান্তিক। তাঁর মৃত্যুতে দেশের শীর্ষ বিচারালয় হারিয়েছে এক কৃতী বিচারককে, আইন অঙ্গণ হারিয়েছে এক মেধাবী আইনজীবীকে; আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হারিয়েছে তার এক অন্যতম মেধাবী শিক্ষার্থীকে। তাঁর মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
আইন অনুষদের ডীন আবু নাসের মো. ওয়াহিদের সভাপতিত্বে এই শোক ও স্মরণ সভায় মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গত ১ জানুয়ারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আপিল বিভাগের