শাহজাদপুরে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, সাংবাদিককে গুলি

শাহজাদপুরে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, সাংবাদিককে গুলি
গুলিতে মারাত্মক আহত সাংবাদিক আব্দুল হাকিম। ছবি: আব্দুল কাইউম।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। ঘটনার সময় সমকাল পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুলের মাথায় গুলি লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন। এছাড়া উভয়পক্ষে অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের একাংশের কর্মী-সমর্থকরা মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। সাংবাদিক আহতের ঘটনার প্রতিবাদে আলাদাভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সাংবাদিকরা।

শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সভাপতি ভিপি রহিম জানান, দিলরুবা বাস টার্মিলান থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত রাস্তার টেন্ডার হওয়ার পর দীর্ঘদিন পার হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরু’র ছোট ভাই পিন্টু কাজ শুরু করেনি।

শাহজাদপুরে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, সাংবাদিককে গুলিএ বিষয়ে আমার শ্যালক শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদ কথা বললে ঠিকাদার পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরু’র ছোট ভাই পিন্টু আমার শ্যালককে কালিবাড়ি এলাকায় বেধড়ক মারপিট করে তার হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগ নেতা বিজয়কে মারপিট করা হয়েছে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দলের কর্মী-সমর্থক ও তার মহল্লা কান্দাপাড়ার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে মনিরামপুর এলাকায় অবস্থিত পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু’র বাড়িতে হামলা চালায়।

এ সময় মেয়রের সমর্থকরাও তাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত সমকাল পত্রিকার শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুলের মাথায় ও মুখে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন।

তাকে প্রথমে উপজেলার পোতাজিয়া হাসপাতালে ও পরে বগুড়ায় নেয়া হয়েছে। এসময় মারপিটে ও ইটপাটকেলের আঘাতে আরও অন্তত: ১৫জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভিপি রহিমের সমর্থক ও তাদের গ্রামের লোকজন বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের শাহজাদপুরের দিলরুবা বাস টার্র্মিনাল এলাকায় মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় সাংবাদিকরাও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের শাস্তি দাবী করেন।

শাহজাদপুরে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, সাংবাদিককে গুলিপৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু জানান, আমার ছোট ভাই পিন্টু ও ভিপি রহিমের শ্যালকের মধ্যে মারামারির কিছুক্ষণ পর ভিপি রহিমের লোকজন লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে  আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা গুলিবর্ষণ শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমিও বাড়ির ভিতর থেকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছি।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল হক জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আধা ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধের পর তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত সাংবাদিককে চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।