শৈলকুপায় গৃৃহবধূূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার : পরিবারের দাবী হত্যা!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবী তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা শেষে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি হয়েছে ১৬ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর এলাকার হাবিবপুর গরু হাটের পেছনে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত সাজেদুর রহমান ফেলু পলাতক রয়েছে।

জানা যায়, সারুটিয়া ইউনিয়নের পাথরবাড়ীয়া গ্রামের খয়বর মাতব্বরের ছেলে সাজেদুর রহমান ফেলুর ঘরে প্রথম স্ত্রী থাকা সত্বেও সে দ্বিতীয়বার একই গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে শারমিন আক্তার ইভাকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে। দ্বিতীয় স্ত্রী ইভাকে নিয়ে সে শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন হাবিবপুর গরু হাটের পেছনে নদীর চরে একটি বাড়ীতে ভাড়া থাকতো। সাজেদুর রহমান ফেলু শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে কর্মরত রয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, ইতিপূর্বে ইভার অন্যত্র বিয়ে হলেও ফেলু ফুসলিয়ে তার সংসার বিচ্ছিন্ন করে অত্যান্ত কৌশলে তাকে বিয়ে করে। এরপর মাঝে মধ্যেই দ্বিতীয় স্ত্রী ইভার সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হলে ফেলু তাকে মারধর করতো।

নিহতের পিতা জাহিদুল ইসলাম, ভাই সোহানুর রহমান, মফিজুল ইসলাম ও মামা মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বৃৃহস্পতিবার বিকেলে ফেলু তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার ইভাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা শেষে গলাই ওড়না পেচিয়ে মৃতদেহ ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে নিহতের অভিযুক্ত স্বামী সাজেদুর রহমান ফেলু কর্মস্থল ফেলে পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে জানা যাবে এটি পরিকল্পিত হত্যা না আত্মহত্যা।